যখন নামিবে আঁধার

এ কেমন প্রেম (আগষ্ট ২০১৬)

রনীল
  • ১৪
  • ৩৯
লোকটা দেখতে অবিকল সত্যজিৎ রায়। তেমনই দীর্ঘ গঠন, দাঁড়াবার ভঙ্গি, খাড়া নাক!
তবে এ মুহুর্তে লোকজন ঠিক তাকে খেয়াল করছেনা, সবার মনোযোগ তার হাতে ধরা ছোট মেয়েটির দিকে। বয়স তিন-চার কিংবা আরো বেশী হতে পারে।
অভাবের সাথে অপুস্টির যোগাযোগটা সরাসরি, আর অপুস্টির প্রভাবটা সরাসরি পড়ে সৌন্দর্যতে।
এ মেয়েটি ঠিক কুৎসিত নয়, তবে ভালো খাবার দাবার পেলে ওকে হয়তো আরো ভালো দেখাতো।
হারিয়েছে মেয়েটা, কিন্তু দিশেহারা ভাব বৃদ্ধের মুখে। সে তুলনায় মেয়েটা একদম নির্ভার। মাঝে মাঝে বৃদ্ধের হাত ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে এদিক ওদিক।
ঘিরে থাকা দর্শনার্থীদের মাঝেও চাপা অস্বস্তি। কিছুক্ষণ পরেই আঁধার নামবে। এর মধ্যে যদি মেয়েটার বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া না যায়!

বৃদ্ধের বৈকালিক ভ্রমন লাটে উঠেছে। সময় নস্ট না করে তিনি বরং মা সূলভ কাউকে দেখলেই ছুটে যাচ্ছেন।
আমিও সময় নস্ট না করে হাটতে থাকি। নিজের সমস্যাও কি কম? চাকরিটা যাই যাই করছে, কাল আবার মর্নিং ডিউটি, উঠতে হবে সকাল পাঁচটায়।
আরেক রাউন্ড ঘুরে আসতেই দেখি মায়ের সন্ধান পাওয়া গেছে।
ক্রুদ্ধ ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে আছেন বৃদ্ধ। বকাঝকা করেন কিনা- ভাবছেন। পাশের দাঁড়িয়ে মা’টা কিছুটা লজ্জিত ভঙ্গিতে।
যাক, একটা সমস্যা তো মিটলো। এবার বাকিগুলো নিয়ে ভাবা যেতে পারে। চাকরীটা বোধহয় আর বাঁচানো যাবেনা। এদিকে আবার চলছে মাসের শেষ সপ্তাহ। পকেটে পড়ে আছে মোটে পাঁচশোটা টাকা।

শেষ রাউন্ড দিয়ে বের হবো, এমন সময় হঠাৎ কেন যেন থেমে যেতে হলো, চেয়ে দেখি সেই মা’টাই বসে আছে গাছের আড়ালে, পাশে একজন পুরুষ।

বসার ভঙ্গিটি বলছে স্বামী নয়, অন্য কিছু। মেয়েটাকে কোথাও দেখা যাচ্ছেনা। ভাগ্য ভালো বলতে হবে- সত্যজিৎ বাবুকেও দেখা যাচ্ছেনা আশেপাশে!

জাহান্নামে যাক, আমার কি! গজগজ করে গেট দিয়ে বের হতেই দেখি- মেয়েটা একা একা এগিয়ে যাচ্ছে রাস্তার দিকে।

ছুটে গিয়ে ধরলাম মেয়েটাকে। শহর জুড়ে সন্ধ্যার আঁধার, আস্তানায় ফিরতে পড়িমড়ি ছুটছে মানুষ।

সেই স্রোত থেকে মেয়েটাকে আড়াল করে একপাশে দাড়াই। তার পর বলি- ভেতরে তোর মায়ের… ইয়ে শেষ হোক, ততক্ষণ পর্যন্ত চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক আমার সাথে, উইথ নো দুস্টামি…
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কাজী জাহাঙ্গীর ভিন্ন চোখে অবলোকন, ভালো লেগেছে, শুভ কামনা
মোঃ আক্তারুজ্জামান রনিল, আসলেই যেন খুব তাড়াহুড়ো করে, হিসেব নিকেশ না করেই ইতি টেনেছ। ভাল লেগেছে।
সালেহ মাহমুদ রনিল, ম্যাসেজটা অস্পষ্ট থেকে গেল। ভালো লেগেছে অবশ্যই, তবে তৃপ্ত হই নি।
সেলিনা ইসলাম এ জেন গল্প নয়,গল্পের আদলে কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরেছেন লেখক! খুব ভালো লাগল! নিরন্তর শুভকামনা। (সব পাখি ডালে ফিরছে...দেখে বড়ই ভালো লাগছে! ভয়ও কিন্তু লাগছে...)
আপেল মাহমুদ অনেকদিন পর এলাম। দারুন অনুগল্প। শুভেচ্ছা রইল।
সূর্য এমন দৃশ্য আমরা সচরাচরই দেখি, অথচ সেগুলো আমাদের কলম/কিবোর্ড দিয়ে ঠিক গল্প হয়ে ওঠে না। তোমার লেখনীতে সেটা খুব চমৎকারই হয়...
পন্ডিত মাহী ফিরে আসার জন্য শুভ কামনা, ওস্তাদ।
মনোয়ার মোকাররম আপনার অভ্র পাড়ের রোদ্দুর গল্পটি পড়েই বুঝেছিলাম আপনার প্রতিভা...এ গল্পটিও তেমনি ...
তানি হক প্রিয় রনিল ভাই , প্রিয় লেখনী
আহা রুবন অনুগল্প। কিন্তু বললেন তো একটা শহরের জীবনী। চমৎকার!

০৪ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪